স্বার্থপর
আমার হাসবেন্ড সিয়াম যখন দ্বিতীয় বিয়ে করে
তখন আমার প্রেগনেন্সির দু মাস চলছে ।
কিন্তু সে জানতো না যে আমি প্রেগনেন্ট। কারণ সেদিন সকালেই আমি জানতে পারি যে আমি মা হতে চলেছি।
ভেবেছিলাম সিয়াম অফিস থেকে ফিরলে তাকে সারপ্রাইজ দিব।
কিন্তু সেই যে আমার জন্য এত বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসবে তা আমি কখনো ভাবিও নি। দরজা খুলে যখন তার পাশে বউ বেশে একটা মেয়েকে দেখি তখন আমার বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি যে কে মেয়েটা।
তবু বোকার মতোন প্রশ্ন করেছিলাম, কে এই মেয়েটা? তখন সে আমাকে কিছু না বলেই উপরে চলে যায়
আমাদের রুমে। আমি পাথরের মতো সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সিয়াম একটা ব্যাগ নিয়ে নিচে নামে।
এবং ব্যাগটা আমার সামনে রেখে একটা কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দেয়। এবং কাগজটা ছিল
ডিভোর্স পেপার। সেটাতে সই করে আমাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এ কথা শোনার পর কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থাকি। এরপর আমি কিছুই বলিনি শুধু কাগজটাতে সাইন করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।
আর আসার আগে দেখতে পেয়েছিলাম আমার শাশুড়ি তার নতুন পুত্রবধূকে বরণ করে ঘরে তুলছে। তুলবেই না কেন? কারণ আমার শাশুড়ি একটি বার ও আমার কথা চিন্তা করলো না। বরং উঠতে বসতে খোঁটা দিত।বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর ভিতর থেকে কান্না গুলো কেন যেন বেরিয়ে আসতে চাইছিল বারবার। বিয়ের ৬ বছর পর সিয়াম কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিল তার সবকিছুই আমার জানা।
তাই তখন কিছুই বলিনি এবং তাকে আর জানানোর প্রয়োজন মনে করিনি যে সে বাবা হতে চলেছে।
একটা গাড়ি নিয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হয়েছিল। আমি ছিলাম আমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। কোন সময় বাবা মায়ের কথার অমান্য হয়নি।
তাই বাবা যখন বিয়ের কথা বলে তখন তাকে বলেছিলাম সে যে ছেলেকে পছন্দ করবে তাকেই বিয়ে করবো। বাবা আমার কাছে জানতে চেয়েছিল আমার কোন পছন্দ আছে কিনা।
যেহেতু আমার কোন পছন্দ ছিল না তাই বাবার কথা আপত্তি করার প্রশ্নই আসে না। এবং বাবা মার পছন্দ মতেই সিয়াম এর সাথে আমার বিয়েটা হয়।
ওর সাথে যখন বিয়ে হয় তখন আমি অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী।বিয়ের পর পড়াশোনা করতে চাইলে শাশুড়ি প্রথমে আপত্তি জানালেও অনেক জোরাজুরির পর রাজি হয়।
এবং অনেক কষ্টে মাস্টার্স কমপ্লিট করি। মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর আমরা বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করি। কিন্তু অনেক দিন চেষ্টা করার পরও যখন কোনভাবেই কনসিভ করতে পারছিলাম না। তখন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই । যখন ডাক্তারের কাছে যাই ডাক্তার দুজনকে কিছু টেস্ট করতে দেয়।
এবং টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর ডাক্তার জানায় আমাদের কারো কোন সমস্যা নেই। সিয়াম এর ধারণা যদি কারো কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আমাদের বাচ্চা কেন হচ্ছে না।
তখন আমার নিজের মনের অবস্থাও ভাল ছিল না তবু ওকে বোঝাই যে আল্লাহ যদি চায় তাহলে আমাদের ঠিকই একদিন বেবি হবে। তখন সিয়াম বুঝেছিল কিনা জানিনা কিন্তু আর কিছু বলেনি।
কিছুদিন পর যখন আমার শাশুড়ি জানতে পারে আমাদের বাচ্চা হচ্ছে না। তখন সে ভাবে আমি বাচ্চা দানে অক্ষম। এবং সিয়াম কে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য বলে। আর আমাকে প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে টর্চার করা শুরু করে।
সিয়াম যে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে এতদিন তা কিন্তু নয়। কথায় কথায় রেগে যেতো। রাত করে বাড়ি ফিরতো কোথায় ছিল জানতে চাইলে রাগারাগি করতো। হঠাৎ একদিন নিজের ভিতরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি। কিন্তু প্রথমে সে গুলোকে পাত্তা দেইনি। কিন্তু যখন আমার পরিবর্তন গুলোকে ভালোভাবে লক্ষ্য করি তখন প্রথমেই একবার প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কথা মাথায় আসে।
এবং পরদিন সকালেই চলে যাই টেস্ট করতে এবং যখন টেস্টের রিপোর্ট আমার হাতে আসে তখন আমি খুশিতে কান্না করে দেই। রিপোর্টে লেখা ছিল আমি দুই মাসের প্রেগনেন্ট।
খুশি মনে বাসায় আসি আর ভাবতে থাকি কিভাবে সিয়াম কে এই খুশির সংবাদটা বলবো এই সংবাদটা শোনার পর নিশ্চয়ই সিয়াম অনেক চমকে যাবে। কিন্তু আমার বলার আগেই সিয়াম আমার জন্য অনেক বড় চমক সাথে করে নিয়ে আসলো বাসায়। আমি যদি তখন বলতাম সিয়াম কে যে সে বাবা হতে চলেছে। তাহলে হয়তো সে বাচ্চার জন্য হলেও আমাকে মেনে নিতো আবার।
কিন্তু আমি চাইনি তার মত স্বার্থপর মানুষের কাছে আমি আমার বাচ্চার দোহাই দিয়ে থাকি। আচ্ছা সে কি আমাকে সাত টা বছরে একটু ও ভালবাসতে পারেনি। সবসময় শুনেছি মানুষ যখন কাউকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসে তখন সে তার ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে সকল দুর্যোগ অতিক্রম করতে পারে।
যদি সিয়াম
আমাকে ভালোবাসতো তাহলে কীভাবে ও আমার হাতটি ছেড়ে অন্য একজনের হাত ধরতে পারলো। সিয়াম যেমন বাবা ডাক শোনার জন্য পাগল ছিল ঠিক আমিও তো তেমন মা ডাক শোনার জন্য পাগল ছিলাম। কই আমি তো কখনো ওর
হাতটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবিও নি।
বাবার বাসায় আসার পর মা আমাকে একলা দেখে জিজ্ঞেস করলো নিহান আমার সাথে আসেনি নাকি পরে আসবে। তখন আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না হাউমাউ করে কান্না করে দিলাম। এবং মা-বাবাকে সব টা খুলে বললাম।
বাবা-মা সবটা শোনার পর স্তব্ধ হয়ে গেল তারা ভাবতে পারেনি সিয়াম এমন কিছু করবে। বাবা সবটা শোনার পর ওদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলো।
কিন্তু আমি বাধা দেই যেখানে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে সেখানে আর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি নেই তাহলে ওরা জেনে যাবে আমার বাচ্চাটার কথা।
তারপর হয়তো উঠে পড়ে লাগবে আমার কাছ থেকে আমার বেচে থাকার শেষ আশাটুকুও নিয়ে যাওয়ার। নিজেকে শান্ত করে বাবাকে বললাম আমাকে এই শহর থেকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে।
এই শহরে আর থাকতে চাই না আমি যে শহরে স্বার্থপরের বাস সে শহরের
বাতাসেও বিষ মিশ্রিত। দুইটা দিন পার হয়ে গেল বাবাও তোড়জোড় লাগিয়ে দিয়েছি দ্রুত এই শহর ছেড়ে যাওয়ার। লেখাপড়া যখন জানি তখন কোন একটা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হয়ে যাবে। তাই নিজেকে ভেঙে পড়তে দি নেই
সবসময় আত্মবিশ্বাস রেখেছি নিজের উপর।
আমি আমার সন্তানের উপর এই স্বার্থপরদের একটা ছায়াও পড়তে দিবোনা। ডিভোর্সের ঠিক এক মাস পরেই ঐ শহর ছেড়ে চলে এসেছিলাম। তারপর কখনো আর তাদের খোঁজ নেওয়া হয়নি। বউ বাচ্চা নিয়ে অবশ্যই ভালোই থাকবে ভালো থাকার জন্যেই তো সে আমাকে ছেড়ে দিয়েছিল। শহর ছেড়ে আসার পর আমার মাথায় অন্য চিন্তা ঘুরছিল। আমি যতদূর জানতাম প্রেগনেন্ট অবস্থায় কখনো ডিভোর্স হয় না।
তাই আমি সে দিন যে ডিভোর্স পেপারে সাইন করলাম সেটা কখনো ডিভোর্স বলে গণ্য হবে না। তাই বাবাকে বলে দিই যাতে নতুন করে আবার ডিভোর্সের জন্য কাগজপত্র তৈরি করে
এবং বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসার পর সিয়াম এর কাছ থেকে পুনরায় ডিভোর্স আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এবং ওকে তখনো জানাবো না আমাদের বাচ্চার কথা । কারণ যে আমাকে বাচ্চা না হওয়ার জন্য ছেড়ে দিতে পারে সে আর যাই হোক আমার বাচ্চা যে তার এই বাচ্চা এটা হয়তো নাও মানতে পারে। অপবাদ ঝুরে দিতে পারে। যা হয়তো আমি নাও সহ্য করতে পারি
যথারীতি আমার বেবি হওয়ার এক মাস পর বাবাকে আবার সেই পুরনো শহরের সিয়াম দের বাড়িতে পাঠাই। বাবাকে দেখে ওরা ভাবে হয়তো বাবা আমাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলতে এসেছে তাই তেড়ে আসে বাবাকে কথা শোনানোর জন্য, আমার বাবাকে অপমান
করতে । কিন্তু বাবা তাদের থামিয়ে দিয়ে সিয়াম কে ডাকতে বলে।
সিয়াম আসার পর বাবা ওকে বলে সেদিন যে ডিভোর্স হয়েছিল তা বাবা মানে না তাই বাবা পুনরায় ডিভোর্স পেপার নিয়ে এসেছে এবং
সেখানে সাইন করে দিতে বলে। সিয়াম তখন বলে যে সেদিন তো ডিভোর্স হয়েছে তাহলে আবার কেন তাও
এতদিন পর ডিভোর্স হয়েছিল তা মানেন না বলে নতুন ডিভোর্স পেপার নিয়ে এসেছেন।
বাবা তখন বলে কারণ এখন আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে তাই আমি পাকাপোক্ত ভাবে প্রমাণ রাখতে চাই যে তোমার সাথে আমার মেয়ে ডিভোর্স হয়ে গেছে এবং আর কখনো তুমি আমার মেয়ের জীবনে আসবে না। ভবিষ্যতে যেন কোনো দাবি না জানাতে পারো যে আমার মেয়ে তোমার ওয়াইফ । সিয়াম
কিছুটা বিরক্ত
হয়েই বাবার কাছ থেকে ডিভোর্স পেপার টা নিয়ে
সাইন করে দেয়।
ও একটা বার আমার কথা জিজ্ঞাসাও করেনি। আমি কেমন আছি ,কি ভাবে আছি ,কিছুই না অথচ আমরা একই চাদের তলায় কাটিয়েছি সাত টা বছর। সন্তান জন্ম না দেয়ার জন্য মানুষ এতোটা পাল্টে যেতে পারে। ভাবিনি , যদিও আমিও চাই সে যেন আমার জীবনে আর না আসে ,বাবা ও বাড়ি থেকে বের হয়ে আমাকে জানায় যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। তখন আমি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নেই।
বাবাকে আমি সবকিছু শিখিয়ে দিয়েছিলাম যে কি বলতে হবে। আমার সন্তান আমার কাছে রাখার জন্য আজ ওদের মিথ্যা বলতে হয় এবং আমাকে ছলনার আশ্রয় নিতে হয়। ওদের যেহেতু বলেছে বাবা আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে তাহলে কোনদিন যদি ওর সাথে আমার দেখা হয় তখন হয়তো বা ভাববে বাচ্চাটা আমার ২য় হাসবেন্ডের।
কিন্তু ওর সাথে যেন আমার আর কোনদিন দেখা না হয় সেই চেষ্টাই করবো সব সময়। কিন্তু একদেশে যেহেতু থাকি কোন একদিন হয়তো ঠিকই দেখা হবে। এবং তখন কি হবে সেটা না হয় তখনই দেখা যাবে।
সময় তার মতো চলতে শুরু করে। আমার মেয়েটাও সময়ের সাথে বড় হতে শুরু। আজ আমি মেয়ের মা। আমার এই মেয়েকে নিয়েই কাটিয়ে দি আরো ২ টি বছর। আজ আমার মেয়ের ২ বছর পূর্ণ হলো ,একটা কোম্পানিতে ছোটখাটো চাকরির ব্যবস্থা করে নি যা দিয়ে অফিস আর বাড়িতে মেয়ে। সুখের অভাব নেই আমার। কেটে যায় সময় গুলো খুব ভালো ভাবেই ।
সেই কোম্পানিতে চাকরি করে মিহির যে আমার থেকে অনেক উপরের পোস্টে আছে, সে আমাকে চাকরি টা না দিলে
হয়তো এতোটুকু পথ আসা সম্ভব হতো না। যাই হোক , সে যে আমাকে পছন্দ করে তা কিছুটা আন্দাজ করতে পারি। কিছুদিন পর সে আমাকে বিয়ের করার প্রস্তাব দেয়।
এবং তখন জানতে পারি সে আসলে আমার মেয়ের বাবা হওয়ার জন্য আমাকে বিয়ে করতে চায়। তার সম্পর্কে আমি সবই জানি। তার ওয়াইফ পাচঁ বছর আগে মারা যায় এবং সে তার ওয়াইফ কে অনেক ভালোবাসত ।
যার জন্য সে আর কখনো বিয়ে করতে চায়নি। কিন্তু প্রথম যেদিন আমার মেয়েকে দেখে সে সেদিন থেকে আমার মেয়ের উপর সে একটা আলাদা টান অনুভব করে। আর আমার মেয়েটাও তাকে খুবই ভালোবাসে। আর তার প্রমাণ হলো তারা দুজন একে অপরকে না দেখে দুই দিনও থাকতে পারে না।
অবশেষে অনেক চিন্তা ভাবনা করে মেয়েটার জন্য বিয়েতে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ আমার মেয়েটাকে বড় করতে হলে তার বাবার পরিচয় তো লাগবেই। আর আমি চাই না আমার মেয়েটা সিয়াম এর পরিচয়ে বড় হক আমার মেয়েটা না হলে মিহির নামের এই লোকটার
পরিচয়েই বড় হলো। অনেক গুলো বছর কেটে গেছে। আজ মিহির আর আমার অষ্টম বিবাহবার্ষিক। এবং আমার তিন বছরের একটা ছেলেও আছে।
এই আটটা বছরে এইটুকু বুঝতে পেরেছি পৃথিবীতে সিয়াম এর মতো যেমন স্বার্থপর হয় ঠিক তেমনি মিহিরের মতো ভালো মানুষও হয়। আমার মেয়েটাকে কখনো বুঝতেই দেয়নি যে সে তার আসল বাবা না।
সে আমার দেখা একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ
ও একজন আর্দশ বাবা। বছর পাচেঁক আগে সিয়াম এর এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছিল।
তখন তার কাছ থেকে জানতে পারি সিয়াম এর বউয়ের প্রথম বেবিটা মিসক্যারেজ হয়ে যায়। এর কিছুদিন পরেই সিয়াম এর একটা গুরুতর এক্সিডেন্ট হয় যার কারণে সে বাবা হওয়ার ক্ষমতা চিরকালের মতো হারিয়ে ফেলে। তার বউ যখন এইটা জানতে পারে তখন সে তাকে ছেড়ে চলে যায়। অথচ তার জন্যই আমাকে ছেড়ে দেয় সে , সময় টা বুঝিয়ে যায় ,যার জন্য ছাড়া হলো সেই হলো না আপন ,এরপর নাকি সিয়াম অনেকটা ভেঙে পড়ে মানসিকভাবে।
সে নাকি আমার খোঁজ নেওয়া অনেক চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোনোভাবেই আমার খোঁজ পায়নি। তার মাও নাকি মারা গেছে। এবং ইদানিং তার শরীরে অবস্থাও নাকি ভালো যাচ্ছে না। খাওয়া দাওয়া নেই ,শরীরে বিভিন্ন রোগের বাসা
আমি তখন সিয়াম এর বন্ধুটাকে অনুরোধ করি যেন সে না
জানায় আমি কোথায় আছি। সেও আমাকে আশ্বস্ত করে যে সে সিয়াম কে জানাবে না। কিছুদিন আগে একজনের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম সিয়াম নাকি মাস দুয়েক আগে মারা গেছে। কিন্তু সে কখনো জানতেই পারলো না যে তার নিজের একটি
সন্তান আছে।
আমি কখনো তার খারাপ চাইনি আমি চাইতাম সে ভালো থাকুক। কিন্তু মানুষকে তার কর্মের ফল অবশ্যই ভোগ করতে হয়। সিয়াম
কে আমি অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি।
তার উপর আমার কোন কালেই রাগ ছিল না। কারণ তার জন্যেই তো আমি মিহিরের মতো মানুষের দেখা পেয়েছি। সে যদি আমাকে ছেড়ে না দিতো তাহলে আমি কখনো জানতেই পারতাম না মিহিরের মতোন মানুষও হয়। যে মানুষকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারে।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন