মুড সুইং
মানুষ পরিবর্তনশীল, এটা আমরা সবাই জানি। আজ যে মানুষ টাকে ছন্ন ছাড়া দেখতেছি।কাল ঠিক সেই মানুষ টাকে আমরা দেখতে পাবো কোন এক দামি আসনে। আজ যে ভুলের মধ্যে জীবন গড়ে আছে,কাল ঠিক সে তার সঠিক সময়ে সঠিক বুদ্ধি প্রয়োগ করবে। কারণ সময় মানুষ কে শিখিয়ে যায়, বুঝিয়ে যায়। আমরা এই পরিবর্তন টাকে মুড সুইং বলে থাকি। যা যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে। যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত বদলে ফেলতে পারে। আর যার এই মুড সুইং টি হয়,মুলত সে খুব কঠোর।যদিও কঠোর ও বলা যায় না কারণ মানুষ না চাইতেই অনেক কিছু হয়ে যায়।
যা অকল্পনীয়। ধরা যাক,আপনি একটা রিলেশন এ যুক্ত আছেন।যাকে আপনার নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন।সব সময় তাকেই খুঁজেন।কিন্তু আপনার এই ভালোলাগা ভালোবাসা টাও কিন্তু চেঞ্জ হতে সময় নিবে না।এটা অনেক সময় দেখা যায় পরিস্থিতির কারণে নয়তো আপনার অজান্তেই আপনার মধ্যে কোন একটা পরিবর্তন। যাই হোক,আমার দিক থেকে আমি বলতে চাই এই পরিবর্তন টা আসলেই খারাপ, খুব খারাপ।কেননা বলা নেই,জানা নেই, হঠাৎ করেই আপনি নিজে নিজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন।যা আপনি আগে ভাবনায় ও আনতেন না তাই করে বসলেন।হঠাৎ করেই আপনার সব থাকা সত্ত্বেও আপনি নিজেকে একা ভাবতেছেন।আপনার সব কিছু থেকে আগ্রহ কমে যাওয়া।নিজেকে লুকিয়ে রাখা এই সব কিছুই মুড সুইং এর কারণ।
মুড সুইং
এর জন্য অনেক সময় দেখা যায় মানুষের জীবনের প্রতি অনিহা বোধ করে। যা মোটেও কাম্য নয়। এই রকম সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে, বরং কারো সাহায্য ছাড়াই। তার জন্য প্রয়োজন প্রথমত নিজেকে ব্যস্ত রাখা,হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা, সবচেয়ে ভালো কাজ দিবে যেটি সেটি হলো পরিবারের সাথে সময় কাটানো। বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে তো আর কথাই নেই।ওদের সাথে খুনশুটিতেই সময় চলে যায়। ঘুরতে যাওয়া।সকাল বেলা ভোরের আলো তে হাটতে বেরোবেন।প্রকৃতির সাথে নিজেকে ফিরে পাবেন অন্য এক আমেজে।বিকাল বেলা বা পরিবারের সাথে ঘুরতে বের হবেন।তাদের ছোট খাটো ইচ্ছা পুরন করার চেষ্টা করবেন।পারেন বা না পারেন চেষ্টা তো করতে পারেন।ক্ষতি কি তাতে। এদের মধ্যে কোনো টাই যদি কাজে না দেয়,তাহলে সৃষ্টিকর্তার
ইবাদতে নিয়োজিত হবেন।নিজের অব্যক্ত কথা গুলো তার সাথেই শেয়ার করবেন।দেখবেন শান্তি পাবেন।ভালো ও থাকবেন।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন