২০ টাকার ভালোবাসা
২০ টাকার ভালোবাসা 💚
প্রতিনিয়ত তো আমরা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর বিশাল আকারে খাওয়ার ব্যবস্থা করা সেই ভালোবাসা গুলোই দেখে থাকি।বড় বড় আকারে সারপ্রাইজ দেওয়া সেই মোমেন্ট গুলো উপভোগ করে থাকি। কিন্তু এই বিশালতার মাঝে আমরা ছোট্ট ছোট্ট চাওয়া পাওয়ার ভালোবাসা গুলো চোখেই দেখি না।দেখবো কি আমরা বুঝি এই না। একটু খেয়াল করলে কিন্তু আমরা খুঁজে পাই নতুনত্ব এক মুহুর্ত। তেমনি এটা ও এক ঝুটির ২০ টাকার ভালোবাসা। শুনতে যেমন অভাক করা ঠিক তেমনি এটা এক অনন্য তম আর বাকি ৪ কি ৫ টা ভালোবাসার ঝুটি থেকে।💗
.
.
মারুফ একজন রিকশাচালক। দিনমজুর বলা যায় যাকে। প্রতিদিন ভোর বেলা বেরিয়ে যাবে জীবিকার তাগিদে।আসে সেই রাতে। বিয়ের প্রায় ৩ বছর চলে। স্বামী স্ত্রী ২ জন ছাড়া তাদের কাছে আর কেউ এই নেই।💖
.
.
৫ বোনের মধ্যে সীমা সবার ছোট। তার গঠন টা অন্য বাকি মেয়েদের মত না।মেয়েরা বেশির ভাগ এই একটু খাটো বা একটু লম্বা হয়ে থাকে।কিন্তু সীমা এতটাই লম্বা যে কারো চোখ যদি ভুলেও একবার পড়ে তা আর ফলক পড়বে না।সৃস্টিকর্তা যে এত লম্বা মানুষ ও বানিয়েছেন তা কেউ তাকে দেখলেই মাথায় আসতে তা আর দেরি করবে না।এখানে কিন্তু কিছুটা হলেও স্থগিত হতে হয় যেই দেখবে।
বিয়ের আগে বাবা মারা গেছেন।তার এমনি দূরভাগ্য যে বিয়ের ক' দিন পরেই মাকে ও হারালো। বিয়ের পরেই পারিবারিক কিছু ঝামেলার কারণে বাড়ি ছেড়ে চলে আসে। শুরু করে নতুন এক সংসার। এটা এমনি এক ঝুটি যে একজন আরেকজন কে যেন চোখেই হারায়। সকাল বেলা মারুফ যাওয়ার আগে প্রতিদিন তাকে বিশ টাকা দিয়ে যাবে।বিকাল বেলা যেন কিছু নাস্তা খেয়ে নেয় কিনে।
.💗
.
এটা কোনো রেস্টুরেন্টের পাস্তা না, না কোনো সান্ডউইস। এটা হলো ৫ টাকার একটা চা তো বাকি টাকার শিঙাড়া। অবাক করা বিষয় তাদের মারুফ না খেয়ে যেতে পারে কিন্তু এই ২০ টাকা দিয়ে যাওয়া ভুলবেনা।কিন্তু সীমা বিকেলের নাস্তা না খেয়ে প্রতিদিনের টাকা জমিয়ে নিজেদের এই ছোট্ট সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করবে। না খেয়ে নতুন কিছু কিনে রাখবে তার ছোট কুঠিরের জন্য।
.
.
এটা বলা বাহুল্য যে সীমা যেমন অনেক লম্বা তেমনি আবার অসুস্থ ও। তার কিডনিতে কিছু সমস্যা ও আছে।কিন্তু এই ঝুটি কে দেখলে তা বুঝাই যায় না।মারুফ কে কেউ সীমার কথা জিজ্ঞেস করলে অচীরেই কেঁদে ফেলে। তার কুঠির টা ছোট কিন্তু তার স্বপ্ন গুলো অনেক বড়।তার প্রথম স্বপ্ন যেমন করেই হোক সৃস্টিকর্তা যদি চান তো সে সীমাকে সুস্থ করবে।যে যেভাবেই বলে ওই ভাবেই মারুফ চেষ্টা করে সীমাকে সুস্থ করার জন্য। এভাবেই সে কিছুটা সুস্থ।
.
.
এমনি করে কেটে যায় আরো কিছু মাস। আগে প্রায়ই সীমা কে দেখা যেত।এখন আর দেখা যায় না।কারণ এখন সে মা হতে চলেছে।
.
.
ছোট কুঠিরেও ভালোবাসা অফুরন্ত যদি সেটা দুইজনেই মনের মত করে মানিয়ে নিতে পারে।মারুফের দেওয়া ২০ টাকা হতে পারে কিন্তু এতে যে কতটা শান্তি আর স্বস্তি তা ওই অবস্থানে না থাকলে উপভোগ এই করা যায় না।এখানে টাকা টা বড় না।প্রকাশ পেয়েছে একে অপরের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা।
খুবই ভালো লাগলো!!!আসলেই ভালোবাসা তো ভালোবাসাই।এর সাথে অর্থের কোন সম্পর্ক থাকে না। ধন্যবাদ এমন একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
উত্তরমুছুনthank you .
মুছুন